বর্তমান বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে নিরাপত্তা মানেই শুধু স্থল সীমান্ত নয়, নতুন যুদ্ধের ময়দান এখন আকাশপথ। ইউক্রেন-রাশিয়া সংঘর্ষ হোক কিংবা মধ্যপ্রাচ্যে ড্রোন হামলা, সবচেয়ে ভয়ংকর আঘাতগুলো আসছে ওপর থেকেই। ড্রোন, ক্রুজ মিসাইল বা হাইপারসনিক অস্ত্রের এই নতুন যুগে আকাশ প্রতিরক্ষা হয়ে উঠেছে আধুনিক রাষ্ট্রের বেঁচে থাকার অন্যতম হাতিয়ার।তাইতো এক্ষেত্রে আর পিছিয়ে থাকতে চায় নাহ বাংলাদেশও, ‘Forces Goal 2030’ অনুযায়ী, দেশের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে আধুনিক ও কৌশলগতভাবে দক্ষ করে তোলার লক্ষ্যে সামনে আসতে চলেছে একাধিক সম্ভাব্য চমক।
আধুনিক যুদ্ধ এখন শুধু মাটিতে নয় – শুরুটা যেন হয় আকাশ থেকেই। ইউক্রেনে প্রতিদিনের ড্রোন হামলা, গাজায় ক্রুজ মিসাইল কিংবা সৌদিতে হুথি বিদ্রোহীদের ক্ষেপণাস্ত্র – সবই প্রমাণ করে, আকাশ প্রতিরক্ষা ছাড়া নিরাপত্তা এখন অসম্পূর্ণ।
“বাংলাদেশে বর্তমানে একাধিক কৌশলগত অবকাঠামো রয়েছে যেগুলো যেকোনো সময় হতে পারে শত্রু দেশের লক্ষ্যবস্তু। পদ্মা সেতু, রূপপুর পারমাণবিক প্রকল্প কিংবা কর্ণফুলী টানেল – এগুলো শুধু অর্থনৈতিক না, জাতীয় মর্যাদার প্রতীকও বটে।
বর্তমানে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর হাতে রয়েছে কিছু নির্দিষ্ট রেঞ্জের রাডার ও ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা। তবে তা দিয়ে পুরো দেশের আকাশসীমা ঢেকে রাখা সম্ভব নয়, নেই পূর্ণাঙ্গ মাল্টি-লেয়ারড এয়ার ডিফেন্স সিস্টেমও।”
অত্যাধুনিক প্রযুক্তি শুধুমাত্র শত্রুপক্ষের আকাশ হামলাই ঠেকাবে না – এটি হবে এমন এক সতর্ক বার্তা, যা জানিয়ে দিবে বাংলাদেশের আকাশ এখন নিয়ন্ত্রিত, সুরক্ষিত এবং প্রযুক্তিনির্ভর।
“বিশ্বের অনেক দেশ এরইমধ্যে এ ধরনের আধুনিক প্রযুক্তির দিকে এগিয়েছে। যুক্তরাজ্যের Sky Sabre, চীনের FM-90, ভারতের Barak ও S-400—এগুলো এখন আকাশ প্রতিরক্ষার প্রধান হাতিয়ার।
“‘Forces Goal 2030’-এর আওতায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী ও বিমান বাহিনীর আধুনিকীকরণ চলছে। এই পরিকল্পনার অংশ হিসেবেই আসছে বিভিন্ন উন্নত প্রযুক্তির সম্ভাবনা।
অতীতের অভিজ্ঞতা ও ভবিষ্যতের চ্যালেঞ্জ—দুটোই বলছে এক কথা: শুধু মাটি নয়, দেশের আকাশও চাই সুরক্ষিত। আর তাই সময় এসেছে শক্তিশালী এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম গড়ে তোলার। এটি কেবল প্রতিরক্ষা নয় – একটি সার্বভৌম দেশের আত্মরক্ষার একটি কৌশলও বটে।

Leave a Reply